العظيم
كلمة (عظيم) في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فعيل) وتعني اتصاف الشيء...
ইমরান ইবন হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আল্লাহর কিতাবে মুত‘আর আয়াত নাযিল হলো। আমরা তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আঞ্জাম দিলাম আর তা নিষিদ্ধ করে কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়নি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিও তার থেকে নিষেধ করেননি। একজন তার মতামত অনুযায়ী যা চাইল তাই বললেন। বুখারী বলেন, বলা হয়ে থাকে তিনি হলেন উমার। অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত: মুতআর আয়াত —অর্থাৎ হজ্জে তামাত্তুর আয়াত নাযিল হলো। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করার জন্য আমাদের আদেশ দিলেন। তারপর এমন কোন আয়াত নাযিল হয়নি যা হজ্জে তামাত্তকে রহিত করে। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমৃত্যু তা থেকে নিষেধ করেননি। আর তাদের উভয়ের জন্য রয়েছে একই অর্থের হাদীস।
ইমরান ইবন হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উমরা করে হজ্জ করার মুত‘আ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ইহা আল্লাহর কিতাব ও সুন্নাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত দ্বারা সাব্যস্ত। কুরআন যেমন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “যে ব্যক্তি উমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা যবেহ করবে”। আর সুন্নাত হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কর্ম, তার ওপর তার স্বীকৃতি, তা নিষিদ্ধ করে কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়নি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেননি। নবী সাল্লাল্লাহুু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন অথচ তা বিদ্যমান ছিল। তারপর থেকে তা রহিত হয়নি। সুতরাং একজন মানুষ স্বীয় মতামত থেকে কীভাবে বলে এবং তা থেকে নিষেধ করে? এ কথা দ্বারা হজের মাসসমূহে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় ইজতিহাদ দ্বারা তা থেকে নিষেধ করার বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তার নিষেধ করার কারণ হলো যাতে সারা বছর বাইতুল্লাহর যিয়ারতকারীর সংখ্যা বাড়ে। কারণ, তারা যদি হজের সাথে ওমরা নিয়ে আসে, হজের মৌসুমের পর তারা আর তার দিকে ফিরে আসবে না। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিষেধ করা হারাম ঘোষণা করার জন্য বা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমল ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়। জন সাধারণের কল্যাণের জন্য তা হলা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা।