البحث

عبارات مقترحة:

الشكور

كلمة (شكور) في اللغة صيغة مبالغة من الشُّكر، وهو الثناء، ويأتي...

الحي

كلمة (الحَيِّ) في اللغة صفةٌ مشبَّهة للموصوف بالحياة، وهي ضد...

الوكيل

كلمة (الوكيل) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) بمعنى (مفعول) أي:...

আব্দুল্লাহ ইবন আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, আমি কুরআন মুখস্থ করে রাখতে পারি না। অতএব আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন যা কুরআনের পরিবর্তে (সালাতে) যথেষ্ট হবে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলবে: “সুবহানাল্লাহ্, আলহামদু লিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম ।” অর্থাৎ “আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত আমার গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং সৎকাজ করার ক্ষমতা নেই।” তখন ঐ ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা তো মহান আল্লাহর জন্য; আমার জন্য কী? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলো, “আল্লাহুম্মার হামনী, ওয়ারযুকনী, ওয়া‘আফিনী, ওয়াহ্দিনী।” অর্থাৎ “হে আল্লাহ আমার ওপর রহম করুন, আমাকে রিযিক দান করুন, আমাকে সুস্থ রাখুন এবং আমাকে হিদায়েত দান করুন।” (বর্ণনাকারী বলেন,) লোকটি যখন উঠে যাচ্ছিলেন তখন তিনি সেগুলো হাতের অংগুলিতে এভাবে গণনা করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এ ব্যক্তি উত্তম বস্তু দ্বারা তার হাত পরিপূর্ণ করেছে।”

شرح الحديث :

এ হাদীসটিতে যারা কুরআন মুখস্থ করে রাখতে পারে না তারা কীভাবে সালাত আদায় করবে সে হুকুম বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বেদুইনকে সালাত আদায়ের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন যে কুরআন মুখস্থ রাখতে সক্ষম ছিলেন না। তিনি তাকে বললেন, তুমি সালাতে বলবে: “সুবহানাল্লাহ” অর্থাৎ আমরা আল্লাহকে সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি মুক্ত ঘোষণা করছি। “আলহামদু লিল্লাহ” সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যে। “ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য মাবুদ নেই। “ওয়াল্লাহু আকবার” আল্লাহ সবচেয়ে বড়। “ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম।” অর্থাৎ আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কারো এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন হওয়ার কোন ক্ষমতা নেই। বেদুইন লোকটি যখন সালাতে নিজের জন্য দু‘আর প্রার্থনা করলেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণের সমষ্টিগত দু‘আ শিক্ষা দিয়ে বললেন, “আল্লাহুম্মার হামনী, ওয়ারযুকনী, ওয়া‘আফিনী, ওয়াহ্দিনী।” অর্থাৎ “হে আল্লাহ আমার ওপর রহম করুন, আমাকে রিযিক দান করুন, আমাকে সুস্থ রাখুন এবং আমাকে হিদায়েত দান করুন।” আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু‘আ ও যিকিরের ফযিলত ও বড়ত্ব বর্ণনা করে বললেন, “এ ব্যক্তি উত্তম বস্তু দ্বারা তার হাত পরিপূর্ণ করেছে।” অর্থাৎ সে অপরিসীম কল্যাণের অধিকারী হলো।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية