উম্মে আতিয়্যা নুসাইবাহ বিনতে হারেস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা পবিত্র হওয়ার পর হলদে ও মেটে বর্ণের স্রাবকে কিছুই গণ্য করতাম না।”
شرح الحديث :
উম্মে আতিয়্যা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা নারীদের রেহেম থেকে যা বের হয়ে থাকে সে সম্পর্কে তিনি একটি স্বীকৃত সুন্নাতে নববী বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, "আমরা মেটে বর্ণের স্রাবকে গণ্য করতাম না" অর্থাৎ ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানির রং এর মতো স্রাবকে। আর “সুপরাতু” হচ্ছে ঐ পানি, যা নারী পুঁজের মতো দেখে যার উপর হলদে বর্ণের প্রধান্য থাকে। পবিত্র হওয়ার পর” অর্থাৎ সাদা সূতা (কাপড়) এবং শুকনা দেখার পর। “কিছুই” অর্থাৎ তাকে আমরা মাসিক স্রাব মনে করি না। তার কথা “আমরা” প্রসিদ্ধ মতে ইঙ্গিত করে যে, এটি রাসূলুল্লাহ থেকে সরাসরি গ্রহণ করার নামান্তর। কারণ, তার উদ্দেশ্য হলো, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এরূপ ছিলাম এবং তিনি জানতেন। সুতরাং এটি তার পক্ষ থেকে সমর্থন ও স্বীকৃতি। এটি প্রমাণ করে যে, যা গাঢ় প্রসিদ্ধ কালো রক্ত নয় সেটাকে পবিত্র হওয়ার পর ঋতু গণনা করা যাবে না। পবিত্রতার আলামত দু’টি: এক. সাদা সূতা। কেউ বলেছেন, সাদা সূতার মতো যা রক্ত বন্ধ হওয়ার পর নারীদের রেহেম থেকে বের হয়। দুই. শুষ্কতা /জুফুফ। আর তা হলো, যা দিয়ে রেহেম ঢাকা হয় সেটা শুষ্ক বের হওয়া। তার কথা, “পবিত্র হওয়ার পর” অর্থাৎ হলদে বর্ণ ও মেটে বর্ণের স্রাব হায়েযের সময়ে বের হলে তাকে হায়েয ধরা হবে।