الأول
(الأوَّل) كلمةٌ تدل على الترتيب، وهو اسمٌ من أسماء الله الحسنى،...
আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ফিরিশতাগণ সে ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর ও ছবি রয়েছে।” ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জিবরীল তার নিকট আসার ওয়াদা করেছিলেন, কিন্তু আসতে বিলম্ব করলেন, ফলে বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর কঠিন ঠেকল। তিনি বের হলে জিবরীল তার সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি তাকে (বিলম্বের) হেতু জিজ্ঞাসা করলে জিবরীল বললেন, “আমরা এমন ঘরে প্রবেশ করি না যেখানে কুকুর ও ছবি রয়েছে।” আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জিবরীল আলাইহিস সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একটি সময়ে আসার ওয়াদা দিয়েছেন, সে সময়টি ঘনিয়ে আসল, কিন্তু তিনি আসলেন না! আয়েশা বলেন, তার হাতে একটি লাঠি ছিল, সেটি হাত থেকে ফেলে দিলেন এবং বলতে লাগলেন: “আল্লাহ ও তার রাসূলগণ ওয়াদার বরখেলাফ করেন না।” অতঃপর তিনি ঘুরে দেখলেন তার খাটের নিচে একটি কুকুর ছানা। তিনি বললেন, “এটি কখন ঢুকেছে?” আয়েশা বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর কসম আমি তার সম্পর্কে জানি না। তিনি কুকুরটি বের করার নির্দেশ দিলে সেটি বের করা হয়, অতঃপর জিবরীল তার নিকট আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “আপনি আমাকে ওয়াদা দিয়েছেন, আর সে জন্য আমি বসে আছি, কিন্তু আপনি আসেন নি।” তিনি বললেন, আপনার ঘরে থাকা কুকুরটি আমাকে আসতে বাধা দিয়েছে। আমরা এমন ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে কুকুর ও ছবি থাকে।”
হাদীসের অর্থ: ফিরিশতাগণ হলেন আল্লাহর পবিত্র ও সম্ভ্রান্ত মাখলুক এবং সম্মানিত ও মনোনীত বান্দা। তারা এমন ঘরে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকেন যেখানে কুকুর অথবা মানুষের ছবি অথবা প্রাণীর ছবি থাকে। এগুলো সংগ্রহে রাখা হারাম, হোক সেটি কুকুর বা ছবি। আর যেগুলো হারাম নয়, যেমন শিকারি, কৃষি খেত ও পাহারাদারির কুকুর এবং যেসব ছবি বিছানা, বালিশ ও অন্যান্য জায়গায় অযত্নে ও লাঞ্ছিত অবস্থায় পড়ে থাকে, সেগুলোর কারণে ফিরিশতাগণ ঘরে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকেন না। শাইখ উসাইমীন রহ. বলেন, “যদি কোনো ছবি বিছানা কিংবা বালিশে লাঞ্ছিত অবস্থায় পড়ে থাকে, অধিকাংশ আলেম সেটাকে বৈধ বলেছেন। তাই বলা যায় এরূপ জায়গায় ফিরিশতাগণ প্রবেশ করা থেকে বিরত হন না।”