البحث

عبارات مقترحة:

الرزاق

كلمة (الرزاق) في اللغة صيغة مبالغة من الرزق على وزن (فعّال)، تدل...

الآخر

(الآخِر) كلمة تدل على الترتيب، وهو اسمٌ من أسماء الله الحسنى،...

الباسط

كلمة (الباسط) في اللغة اسم فاعل من البسط، وهو النشر والمدّ، وهو...

আবূ মূসা আল আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফ‘ হিসেবে বর্ণিত: “কোনো কষ্টের কথা শোনার পর তার ওপর ধৈর্য ধারনের বিষয়ে কেউ অথবা কোনো কিছু আল্লাহর চেয়ে অধিক ধৈর্যশীল নয়। কারণ, তারা আল্লাহর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে অথচ আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন এবং তাদের রিযিক দান করেন।”

شرح الحديث :

তার বাণী: «ليس أحدٌ، أو: ليس شيءٌ أصبرَ» “কোনো কষ্টের কথা শোনার পর তার ওপর ধৈর্য ধারনের বিষয়ে কেউ অথবা কোনো কিছু আল্লাহর চেয়ে অধিক ধৈর্যশীল নয়।” অর্থাৎ আল্লাহ যে কোনো ব্যক্তি থেকে অধিক ধৈর্যশীল। আর আল্লাহর একটি সুন্দর নাম হলো আস-সাবূর। এর অর্থ হলো, যিনি অপরাধীদের শাস্তি দিতে তাড়াহুড়া করেন না। এটি হালীম শব্দের কাছাকাছি একটি অর্থবোধক শব্দ, তবে হালীম বিশেষণধারী সাবুর বিশেষণধারী থেকে বেশি ক্ষমাশীল। আর তার বাণী: «على أذى سمعه من الله» এখানে أذى শব্দটি আভিধানিকভাবে যার ব্যাপারটি হালকা এবং অপছন্দ ও খারাপের ক্ষেত্রে বেশি ক্রিয়াশীল নয় তার ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা তো জানিয়েই দিয়েছেন যে, বান্দা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যেমন, তিনি বলেছেন, ﴿وَلاَ يَحْزُنكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ إِنَّهُمْ لَن يَضُرُّواْ اللهَ شَيْئاً﴾ “আর যারা কুফরীতে ছুটাছুটি করে তারা যেন আপনা চিন্তায় না ফেলে। অবশ্যই তারা আল্লাহর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।” আর হাদীসে কুদসীতে তিনি বলেন, হে আমার বান্দাগণ, তোমার আমার ক্ষতি পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না যে তোমরা আমার ক্ষতি করবে। আর তোমরা আমার উপকার পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে যে তোমরা আমার উপকার করবে। সুতরাং তিনি স্পষ্ট করেন যে, মাখলুক তার ক্ষতি করতে পারবে না তবে তাকে কষ্ট দিতে পারবে। তার বাণী: «إنَّهم لَيَدْعُون له ولدًا» “তারা আল্লাহর জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে।” অর্থাৎ আদম সন্তান আল্লাহকে কষ্ট দেয় এবং তাকে এমন সব বিষয় দ্বারা গাল দেয়, যার থেকে তিনি পবিত্র ও উর্ধ্বে। তার জন্য সন্তান সাব্যস্ত করা, তার শরীক বানানো এবং যে ইবাদত একমাত্র তার জন্য করা ওয়াজিব সে সব ইবাদতে কাউকে শরীক করাই তাকে গালমন্দ করা। তার বাণী, «وإنَّه ليُعافِيهم ويرزُقُهم» “আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন এবং তাদের রিযিক দান করেন।” অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তাদের খারাপ কর্মের বদলা ইহসান দ্বারা প্রদান করেন। তারা আল্লাহকে দোষারোপ করা,গাল দেওয়া, যা থেকে তিনি পবিত্র ও উর্ধ্বে তার জন্য তা দাবী করা, তার রাসূলগণকে অস্বীকার করা, তার নির্দেশ অমান্য করা এবং তিনি যা নিষেধ করেছেন তা করার মাধ্যমে আল্লাহকে কষ্ট দেয়। আর শরীর সুস্থ রাখা, রোগ থেকে মুক্তি দেওয়া, রাত ও দিনে যে সব বিপদ-আপদ তাদের সামনে আসে তা থেকে তাদের রক্ষা করা এবং আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছুকে তাদের অনুগত করার মাধ্যমে তিনি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। এটি সবোর্চ্চ ধৈর্য, সহনশীলতা এবং অনুগ্রহ।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية