البحث

عبارات مقترحة:

المبين

كلمة (المُبِين) في اللغة اسمُ فاعل من الفعل (أبان)، ومعناه:...

الشافي

كلمة (الشافي) في اللغة اسم فاعل من الشفاء، وهو البرء من السقم،...

الأعلى

كلمة (الأعلى) اسمُ تفضيل من العُلُوِّ، وهو الارتفاع، وهو اسمٌ من...

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্যে, যার শ্রুতি সকল শব্দকে বেষ্টন করে নিয়েছে। খাওলা তার স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসেছিল, তার কথাগুলো আমার নিকটও অস্পষ্ট ছিল। ইত্যবসরে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ সে নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছিল, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শোনেন।” [সূরা মুজাদালাহ, আয়াত: ১]

شرح الحديث :

খাওলা বিনত সালাবাহ আউস ইবন সামেতের সাথে বিবাহে আবদ্ধ ছিল। একদা আউস তাকে বলে: তুমি আমার ওপর আমার মায়ের পিঠের মতো। অর্থাৎ তুমি আমার ওপর হারাম। ফলে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গেল এবং তাকে ঘটনাটি বলল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন: “তুমি তার ওপর হারাম হয়ে গেছ।” তখন সে নিচু আওয়াজে বলছিল, যা আয়েশা কাছে থাকা সত্ত্বেও শুনতে পাচ্ছিল না। আমার বয়স শেষ হওয়ার পর আমার সাথে মুজাহারা করল? আল্লাহর নিকট বাচ্চাদের অবস্থার অভিযোগ করছি, যদি তাদেরকে আমার সাথে রাখি, তারা ক্ষুধায় থাকবে, আর যদি তার নিকট রেখে দিই তাহলে তারা ধ্বংস হবে। এটাই তার বাদানুবাদ ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে, যা আল্লাহ তাআলা নিম্নের বাণীতে উল্লেখ করেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ সে নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছিল, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শোনেন।” অর্থাৎ ঘিরে ও বেস্টন করে নিয়েছে, যত গোপনই হোক তার থেকে কোনো কিছু ছুটে না। খাওলা তার স্বামীর অভিযোগ করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসেছিল, তার কথাগুলো আমার নিকটও স্পষ্ট হচ্ছিল না, ইত্যবসরে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ সে নারীর কথা শুনেছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছিল, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি। আল্লাহ তোমাদের কথোপকথন শোনেন।” [সূরা মুজাদালাহ, আয়াত: ১] অর্থাৎ খাওলা যখন তার স্বামীর অভিযোগ জানাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসেছিল, তখন সে খুব আস্তে আওয়াজে তার সাথে কথা বলছিল, কাছে থাকা সত্ত্বেও আয়েশা যা শুনতে পাচ্ছিল না, তবুও সাত আসমানের উপর থেকে আল্লাহ তা‘আলা তার কথা শুনেছেন এবং উল্লিখিত আয়াতগুলো নাযিল করেছেন। আল্লাহ যে শুনেন একটি তার সবচেয়ে স্পষ্ট দলীল। এটি ইসলামের একটি জরুরী বিষয়, যা গোমরাহ ব্যতীত কেউ অস্বীকার করতে পারে না। আর আয়েশার এই কথা প্রমাণ করে যে, সাহাবীগণ কুরআন ও হাদীসের বাহ্যিক অর্থই বুঝতেন, শোনামাত্র যে দিকে মাথা ধাবিত হয়। আর আল্লাহও তাদের থেকে এবং তাদের ব্যতীত অন্যান্য লোকদের থেকে এবং তার রাসূল থেকেও এটাই চেয়েছেন, যদি এভাবে তাদের ঈমান আনা ও বিশ্বাস করা ভুল হত, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এই বিশ্বাসের ওপর রাখা হত না, অবশ্যই তাদের সামনে সত্য স্পষ্ট করা হত। অথচ তাদের কারো থেকেই সহীহ ও দুর্বল কোনোভাবেই এমন দলীল বর্ণিত হয় নি, যা প্রমাণ করে এগুলোর বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয়, যদিও তার অনেক প্রয়োজন ছিল।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية