আতিইয়্যাহ ইবন ‘উরওয়াহ আস-সা‘দী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যতক্ষণ কোনো বান্দা ‘যাতে ক্ষতি আছে’ তা থেকে বাঁচার জন্য ‘যাতে ক্ষতি নেই’ তা না ছাড়বে ততক্ষণ সে মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।”
شرح الحديث :
একজন মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাকীদের স্তরে পৌঁছতে পারবে না, যতক্ষণ না সে হারামে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে অপ্রয়োজনীয় হালাল না ছাড়বে। অনুরূপভাবে যখন হারাম ও হালাল সন্দিহান হয় এবং হারাম ও হালালের মাঝে পৃথক করা কঠিন হয়, তখন পরিপূর্ণ তাকওয়া হলো, হারামে পতিত হওয়ার ভয়ে হালাল ছেড়ে দেওয়া। হাদীসটি সনদের দিক থেকে দুর্বল। কিন্তু তার অর্থ সহীহ; কারণ বুখারী ও মুসলিমে এ হাদীসের সমর্থক হাদীস রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অবশ্যই হালাল স্পষ্ট আর হারামও স্পষ্ট, তবে তাদের মাঝে সন্দেহযুক্ত বস্তু রয়েছে, যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে সন্দেহযুক্ত বস্তু হতে দূরে থাকবে, সে তার দীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নিবে এবং যে সন্দেহযুক্ত বস্তুতে পতিত হবে সে হারামে পতিত হবে। ঐ রাখালের মতো, যে নিষিদ্ধ চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আর তার পশুর নিষিদ্ধ চারণভূমিতে ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়। শুনে রেখ! প্রত্যেক বাদশাহর সংরক্ষিত চারণভূমি থাকে। মনে রেখ, আল্লাহর সংরক্ষিত চারণভূমি হল তাঁর হারামসমূহ। শুনে রেখ! দেহের মধ্যে একটি মাংসপিণ্ড রয়েছে; যখন তা সুস্থ থাকে, তখন গোটা দেহ সুস্থ থাকে। আর যখন তা খারাপ হয়, তখন গোটা দেহই খারাপ হয়। শুনে রেখ! সেটা হল হৃৎপিণ্ড।”