الجواد
كلمة (الجواد) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فَعال) وهو الكريم...
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম পশুর গর্ভস্থ ভ্রুণের বাচ্চা ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, যা ছিল জাহিলী যুগের এক প্রকার বিক্রয় পদ্ধতি। যেমন কোন ব্যক্তি একটি উট ক্রয় করত এবং মূল্য দেওয়ার অঙ্গীকার এভাবে করতো যে, যখন এই উটনী বাচ্চা দিবে এবং সে বাচ্চা আবার বাচ্চা দিবে তখন সে মূল্য পরিশোধ করবে। কেউ কেউ বলেছেন, উটনীর পেটে যে বাচ্চা রয়েছে সে বাচ্চার বিনিময়ে বয়স্ক উট ক্রয় করা।
এ প্রকার বেচা-কেনা হারাম বেচা-কেনার অন্তর্ভুক্ত। এ প্রকার বেচাকেনার দুটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। সে দু’টি হলো: এক— এর অর্থ হলো আটকে রাখা। যেমন, কোন পণ্য উটের বাচ্চা প্রসব করা অতঃপর পেটের বাচ্চার বাচ্চা প্রসব করার মেয়াদ পর্যন্ত বাকীতে বিক্রি করল। এ ধরণের বেচা-কেনা করা নিষেধ। কেননা, এতে বস্তুর মূল্য পরিশোধের সময় অজ্ঞাত থাকে। আর স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী সময়ের ভিত্তিতে বস্তুর মূল্যে প্রভাব ফেলে। দুই— এর আরেকটি অর্থ হলো, অস্তিত্বহীন অজ্ঞাত বস্তু বিক্রয় করা। আর তা হলো এভাবে যে, বয়স্ক উটনীর পেটে যে বাচ্চা রয়েছে সে বাচ্চা বিক্রয় করা। এ ধরণের বেচা-কেনাও নিষিদ্ধ। কেননা, এতে রয়েছে বড় ধরণের ক্ষতি ও প্রতারণা। ভূমিষ্টতব্য বাচ্চাটি কী উট হবে নাকি উটনী হবে? উটনীটি কী একটি বাচ্চা প্রসব করবে নাকি দু’টি? বাচ্চাটি কি জীবিত থাকবে নাকি মৃত? এছাড়াও এতে রয়েছে বাচ্চা হস্তগত করার সময়ের অজ্ঞতা। আর এ ধরণের বেচা-কেনাকে বাইয়ে‘ মাজহূল তথা অজানা বস্তুর বেচা-কেনা বলা হয়। এতে ক্ষতি বা লাভ অধিক হয়। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে। অর্থাৎ উপরোক্ত মাস‘আলাটির চারটি ধরণ রয়েছে। সেগুলো হলো: এক— উটনীর গর্ভ বিক্রি করা। দুই— উটনীর পেটের বাচ্চার বাচ্চা বিক্রয় করা। এতে বিক্রয়কৃত বস্তুর মাঝে অজ্ঞতা দেখা দেয়। তিন— বিক্রিত বস্তুর মূল্য বাকীতে আদায় করা। অর্থাৎ উটের বাচ্চা প্রসব অথবা উটের বাচ্চার বাচ্চা প্রসব করা পর্যন্ত বিক্রিত বস্তুটি ক্রয়কারীর মালিকানাধীন বাকীতে পরিশোধের চুক্তিতে থাকা। চার— বিক্রিত বস্তুটি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করা; তবে মূল্য অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাকী রাখা।