الرحمن
هذا تعريف باسم الله (الرحمن)، وفيه معناه في اللغة والاصطلاح،...
ইয়াস ইবনে আব্দুল্লাহ ইবন আবু যুবাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে প্রহার করবে না।” পরবর্তীতে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ‘মহিলারা তাদের স্বামীদের উপর বড় দুঃসাহসিনী হয়ে গেছে।’ সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে প্রহার করার অনুমতি দিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারের নিকট বহু মহিলা এসে নিজ নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরম্ভ করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “মুহাম্মাদের পরিবারের নিকট অনেক মহিলার সমাগম হয়েছে, যারা তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। (জেনে রাখ, মারকুটে) ঐ (স্বামী)রা তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ নয়।”
সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের প্রহার করতে নিষেধ করেছেন, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ‘মহিলারা তাদের স্বামীদের উপর বড় দুঃসাহসিনী ও অবাধ্য হয়ে গেছে।’ সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে হালকা প্রহার করার অনুমতি দিলেন। যদি তাদের থেকে মারার কারণ পাওয়া যায়, যেমন অবাধ্যতা প্রভৃতি। অতঃপর পরবর্তী দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারের নিকট বহু মহিলা এসে একত্র হলো। তারা নিজ নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরম্ভ করল যে তারা তাদের স্ত্রীদের অনুমতির অপব্যবহার করে কঠিন মার-ধর করছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে সব স্বামী তাদের স্ত্রীদের কঠিনভাবে মারছে তারা তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ নয়। মারধর করার একটি কারণ হচ্ছে স্ত্রী অবাধ্য হলে আল্লাহ তাআলা তার চিকিৎসার সর্বশেষ স্তর নির্ধারণ করেছেন মারধর, যেমন তিনি বলেন: “আর যেসব নারীর অবাধ্যতাকে তোমরা আশংকা কর, তাদেরকে উপদেশ দাও ও বিছানায় তাদেরকে পরিহার কর এবং তাদেরকে (হালকা) প্রহার কর”। স্ত্রীকে শাসন করার এ তিনটি ক্রম রয়েছে, তবে একই মুহূর্তে তিনটি জমা করা যাবে না। প্রথম বুঝাবে, উপদেশ দিবে ও নসিহত করবে। যদি এতটুকু তাকে সংশোধন করে আল-হাদুলিল্লাহ। আর যদি এতে সে সংশোধন না হয় তাহলে তাকে বিছানায় ত্যাগ করবে, তবুও যদি কাজে না আসে তাহলে তাকে আদব দেওয়ার ন্যায় প্রহার করবে, প্রতিশোধ গ্রহণ করার ন্যায় নয়।