আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন লোককে সৈন্যদলের আমীর বানিয়ে পাঠান। সে সাথীদের নিয়ে পড়ত, তবে সূরা ইখলাস দ্বারা কিরাত শেষ করতেন। তারা যখন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেন বিষয়টি রাসূলুল্লাহর নিকট আলোচনা করলে তিনি বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞাসা করো কেন সে এমন করল? তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন, কারণ, এ সূরাটিতে রয়েছে রহমানের গুণাগান। আর আমি তাই এটা পড়তে পছন্দ করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তোমরা জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ভালোবাসেন”।
شرح الحديث :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন সাহাবীকে সৈন্যদের পরিচালনা করা ও তাদের মধ্যে ফায়সালা করার জন্য আমীর বানালেন, যাতে কোন বিশৃংখলা দেখা না দেয়। তাদের মধে যে দীন, ইলম ও পরিচালনায় দক্ষ হতেন তাকেই তিনি নিযুক্ত করতেন। ফলে যিনি আমীর হতেন তিনিই সালাতের ইমাম হতেন এবং ইলম ও দীন বিষয়ে ফতওয়া দানকারী হতেন। তিনি প্রত্যেক সালাতের দ্বিতীয় রাকা‘আতে আল্লাহ এবং তার নামসমূহ ও সিফাতসমূহের মহব্বতে শুধু কুল হুয়াল্লাহু আহাদ পড়তেন। আর যে ব্যক্তি যাকে মহব্বত করে সে তার আলোচনা বেশি করে। তারপর যখন তারা তাদের যুদ্ধ থেকে রাসুল্লাহর কাছে ফিরে আসেন, তখন তারা বিষয়টি রাসূলুল্লাহর নিকট আলোচনা করলে তিনি বলেন, তোমরা তাকে জিজ্ঞাসা করো কেন সে এমন করল? এটি কি আকস্মিকভাবে করছে না কোন কারণে করেছে? তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন, আমি এটি করেছি কারণ, সূরাটি রহমানে গুণাগানকে সামিল করে। তাই আমি তাকে বার বার বলতে পছন্দ করি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তোমরা জানিয়ে দাও যে, সে যেভাবে সূরাটিকে ভালোবেসে বারবার পড়েছে, কারণ এতে রয়েছে আল্লাহর মহান সিফাতসমূহ যা প্রকাশ করে তাতে উল্লিখিত নামসমূহ, আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাকে ভালোবাসেন। হায়! এ সূরার কতইনা ফযীলত।
ترجمة هذا الحديث
متوفرة باللغات التالية