الحافظ
الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحافظ) اسمٌ...
আবূ হুনাইদাহ ওয়ায়েল ইবন হুজর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালামা ইবন ইয়াযীদ আল-জু‘ফী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী! আপনার কী মত, যদি আমাদের ওপর এমন শাসক চেপে বসে, যারা আমাদের থেকে তাদের হক (অধিকার) পুরোপুরি দাবী করে; কিন্তু আমাদের হক আমাদেরকে না দিয়ে আটকে রাখে, এ অবস্থায় আমাদের কী করার আদেশ করেন? তার কথা শুনে তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। (সে পুনরায় জিজ্ঞেস করলে এবারও তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে পুনরায় জিজ্ঞেস করলে এবারও তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। সে দ্বিতীয় অথবা তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করল) অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তাদের কথা শোন এবং তাদের আনুগত্য কর। কারণ, তাদের উপর আপতিত দায়িত্বের দায়ভার তাদের উপর, আর তোমাদের ওপর আপতিত দায়িত্বের দায়ভার তোমাদের উপর।”
এ হাদীসে সালামা ইবন ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেসব নেতাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন, যারা কথা শোনা ও আনুগত্য করা ইত্যাদি অধিকার মানুষের কাছে পুরোপুরি আদায় করে নেয়; কিন্তু তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তাদের অধিকার আদায় করে না; বরং তাদের প্রতি যুলুম-নির্যাতন করে ও তাদের না দিয়ে কবজা করে নেয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নকারীর প্রশ্নকে উপেক্ষা করে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, যেন তিনি এ ধরনের প্রশ্ন অপছন্দ করলেন এবং এদ্বার উন্মুক্ত করা অপছন্দ করলেন। কিন্তু প্রশ্নকারী তাকে আবার প্রশ্ন করলেন। তিনি এবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন। প্রশ্নকারী আবার প্রশ্ন করলেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে শাসকের প্রাপ্ত অধিকার আদায় করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তারা যা কিছু করে তার বোঝা তাদের উপরই বর্তাবে এবং আমরা যা কিছু করি তার বোঝা আমাদের উপর বর্তাবে। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো তাদের আদেশ শোনা ও আনুগত্য করা আর তাদের দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করা এবং কারো প্রতি যুলুম না করা, আর আল্লাহর বান্দাদের মাঝে তাঁর নির্ধারিত শাস্তি বাস্তবায়ন করা, যমীনে তাঁর শরী‘আত প্রতিষ্ঠা করা এবং তাঁর শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করা।