الواحد
كلمة (الواحد) في اللغة لها معنيان، أحدهما: أول العدد، والثاني:...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা এক অপরের প্রতি হিংসা করো না, কেনাবেচাতে জিনিসের মূল্য বাড়িয়ে এক অপরকে ধোকা দিয়ো না, একে অপরের প্রতি শত্রুতা রেখো না, একে অপর থেকে (ঘৃণাভরে) মুখ ফিরায়ো না এবং একে অপরের (জিনিস) কেনাবেচার উপর কেনাবেচা করো না। আর হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ভাই-ভাই হয়ে যাও। মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার প্রতি যুলুম করবে না, তাকে তুচ্ছ ভাববে না এবং তাকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিবে না। আল্লাহভীতি এখানে রয়েছে। তিনি নিজ বুকের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা তিনবার বললেন। কোনো মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ ভাবা একটি মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, মাল এবং তার মর্যাদা অপর মুসলিমের ওপর হারাম।”
এ হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মুসলিম সমাজের ওপর অত্যাবশ্যক কতক বিষয়ের পথনির্দেশ করেছেন যে, আমরা যেন একে অপরের প্রতি ভালোবাসাপূর্ণ ব্যবহার করি, আমাদের মধ্যে মু‘আমালা হবে সুন্দর, শরী‘আতসম্মত যা আমাদেরকে উত্তম চরিত্রের দিকনির্দেশনা দিবে, অন্যায় থেকে আমাদের বিরত রাখবে, আমাদের অন্তরে থেকে শত্রুতা দূরিভূত করবে, আমাদের পরস্পরের মু‘আমালাকে উচ্চ মানের মু‘আমালায় রূপান্তর করবে যা হিংসা, যুলুম, প্রতারণা প্রভৃতি থেকে মুক্ত থাকবে যা কষ্ট দেওয়া ও বিভেদের দিকে নিয়ে যায়। কেননা মুসলিম ভাইকে কষ্ট দেওয়া হারাম, চাই সম্পদ, আচরণ, হাত বা জিহ্বা দ্বারা হোক। প্রত্যেক মুসলিমের ওপর তার রক্ত, সম্পদ, সম্মান হারাম। আর প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা তো তাকওয়ার মাধ্যমে।