المتين
كلمة (المتين) في اللغة صفة مشبهة باسم الفاعل على وزن (فعيل) وهو...
ইবনে আযহারের আযাদকৃত গোলাম আবূ উবাইদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা ঈদে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, এই দুই দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন। তোমাদের সাওম ছেড়ে ফিতরের দিন। আরেক দিন, যেদিন তোমরা তোমাদের কুরবানীর গোশত খাও।
আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের জন্য দু’টি দিন নির্ধারণ করেছেন। তা হচ্ছে মুসলিমদের দু’টি ঈদ। দীনি ঐতিহ্য ও নির্দশনের সাথে দিন দু’টির ওতপোতভাবে জড়িত।ঈদুল ফিতরের দিনটি সিয়াম সমাপ্তির সাথে সম্পৃক্ত। সিয়ামের নেয়ামত পূর্ণ হওয়া ও রামাযান মাস শেষ হওয়ার পর আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক সিয়াম ছেড়ে দেয়ার নেয়ামত প্রকাশার্থে সেদিন মুসলিমের ওপর আল্লাহ তাআলার শোকরিয়া স্বরূপ সিয়াম ভঙ্গ করা ওয়াজিব। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ “আর যেন তোমরা নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করতে পার এবং তোমাদেরকে যে সুপথ দেখিয়েছেন, তার জন্যে তোমরা আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশ কর এবং তাঁর কৃতজ্ঞ হও।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫) আর দ্বিতীয় দিনটি হচ্ছে ঈদুল আযহার দিন। এটি হাদী এবং কুরবানী যবেহ করার সাথে সংশ্লিষ্ট। কেননা সেদিন লোকেরা হাদী ও কুরবানী যবেহ করে থাকে এবং তা থেকে ভক্ষণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান প্রকাশ করে। সুতরাং এ দুই দিন মুসলিমের ওপর সিয়াম ছেড়ে দেয়া ওয়াজিব এবং তাতে সিয়াম পালন করা হারাম।