النصير
كلمة (النصير) في اللغة (فعيل) بمعنى (فاعل) أي الناصر، ومعناه العون...
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন বললেন, “মক্কা বিজয়ের পর সেখান থেকে আর হিজরত নেই; কিন্তু জিহাদ ও নিয়ত অবশিষ্ট রয়েছে। আর যখন তোমাদেরকে জিহাদে যাওয়ার ডাক দেওয়া হবে তখন তোমরা বেরিয়ে পড়বে। তিনি মক্কা বিজয়ের দিন একথাও বলেছেন, এ নগরীকে আল্লাহ তা‘আলা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে সম্মানিত করেছেন। কাজেই তা আল্লাহ প্রদত্ত সম্মানের দ্বারা কিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিত থাকবে। আমার আগে এখানে যুদ্ধ করা কারো জন্য হালাল ছিলো না। আমার জন্যও তা দিনের কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছিল। অতএব আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত সম্মানের দ্বারা কিয়ামত পর্যন্ত তা সম্মানিত থাকবে। এখানকার কাঁটা কর্তন করা যাবে না; শিকারকে উত্যক্ত করা যাবে না; আর পথে পড়ে থাকা বস্তু কেউ উঠাবে না; তবে সে ব্যক্তি উঠাতে পারবে, যে তা ঘোষণা করবে। এখানকার ঘাস কাঁটা যাবে না। তখন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, ইযখির ব্যতীত। কেননা তা কর্মকারের ও ঘরের কাজে লাগে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইযখির ব্যতীত।”
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দিচ্ছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন বক্তব্য প্রদান করতে দাঁড়ালেন। অতঃপর বললেন, কোনো হিজরত নেই, অর্থাৎ মক্কা থেকে। কেননা মক্কা ইসলামের রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু জিহাদ অবশিষ্ট আছে। আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল ও আমীরের আনুগত্য পালনে যাকে জিহাদে যাওয়ার জন্য বলা হবে, তাকে তিনি জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার নির্দেশ দেন। অতঃপর তিনি মক্কা নগরীর মর্যাদা বর্ণনা করেন। কেননা যখন থেকে আল্লাহ তা‘আলা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তখন থেকে মক্কা সম্মানিত। এখানে যুদ্ধ করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগে আর কারোও জন্য হালাল ছিলো না, তাঁর পরেও কারো জন্য হালাল নয়। তবে তার জন্যে তা দিনের কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছিল। অতঃপর তার সম্মান আগের মতো ফিরে এসেছে। অতঃপর তিনি মক্কা নগরীর আরো সম্মান উল্লেখ করেন এবং বলেন, হারামের কাঁটা কর্তন করা যাবে না; তার শিকারকে উত্যক্ত করা যাবে না; তার পথে পড়ে থাকা বস্তু উঠানো যাবে না; তবে সে ব্যক্তি উঠাতে পারবে যে তা ঘোষণা করবে। এখানকার ঘাস কাঁটা যাবে না। তবে তিনি মক্কাবাসীদের প্রয়োজনে ইযখির কাঁটার অনুমতি দেন। দেখুন, তাইসীরুল আল্লাম, পৃ. ৩৮৪; তানবীহুল আফহাম, (৩/৫১৫); তা’সীসুল আহকাম, (৩/৩৫১)