البحث

عبارات مقترحة:

الحق

كلمة (الحَقِّ) في اللغة تعني: الشيءَ الموجود حقيقةً.و(الحَقُّ)...

البارئ

(البارئ): اسمٌ من أسماء الله الحسنى، يدل على صفة (البَرْءِ)، وهو...

الخالق

كلمة (خالق) في اللغة هي اسمُ فاعلٍ من (الخَلْقِ)، وهو يَرجِع إلى...

নাওয়াস ইবন সাম‘আন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “পুণ্য হলো সৎ স্বভাবের নাম। আর পাপ হলো তাই, যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং তা লোকে জেনে ফেলুক এ কথা তুমি অপছন্দ কর।” ওয়াবেসা ইবন মা‘বাদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলে তিনি আমাকে বললেন: “তুমি কি নেকী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছ? আমি বলি: জী হ্যাঁ। তিনি বললেন: “নিজের মনকে জিজ্ঞাসা কর; যা সম্পর্কে তোমার আত্মা ও মন আশ্বস্ত থাকে তা হচ্ছে নেকী, আর গোনাহ হচ্ছে তা যা যদিও লোক (তার স্বপক্ষে) ফাতাওয়া দিয়ে দেয় তবুও তোমার আত্মাকে অশ্বস্তিতে রাখে ও মনে সংশয় সৃষ্টি করে।”

شرح الحديث :

হাদীসটি আনুগত্যের ব্যাখ্যা করেছে –তা হচ্ছে সদাচরণ, আর তা এমন সকল কাজকে অন্তর্ভুক্ত করে যাকে সুন্দর চরিত্র নামে অবহিত করা হয়, যা বান্দা ও তার রবের মধ্যে হোক অথবা বান্দা ও তার মুসলিম ভাইয়ের মধ্যে হোক অথবা তার মধ্যে ও সকল মুসলিমের মধ্যে হোক, চায় তারা মুসলিম হোক বা কাফির হোক। অথবা সৎ কাজের ব্যাখ্যা হলো, যার প্রতি মন আশ্বস্ত থাকে; যেমন দ্বিতীয় হাদীসে এসেছে। আর মন আশ্বস্ত থাকে ভালো কাজে ও ভালো কথায়, চায় সেটি চরিত্রের ক্ষেত্রে হোক বা অন্যান্য ক্ষেত্রে। আর পাপ হলো তাই, যা অন্তরে বারবার ধাক্কা দেয়, এটি সন্দেহের মতো যা অন্তরে বারবার ধাক্কা খায়। আর হারাম কাজ থেকে নিজের অন্তরাত্মাকে সংরক্ষণ করার জন্য তা ছেড়ে দেওয়া এবং তা থেকে দূরে থাকাই উত্তম। সুতরাং আল্লাহভীতির দাবী হচ্ছে, এ সকল কাজকে পরিপূর্ণভাবে ছেড়ে দেওয়া এবং মন আশ্বস্ত থাকে এমন কাজের ওপর নির্ভর করা। আর যা মানুষের অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে তাই পাপ কাজ, যদিও লোক (তার স্বপক্ষে) ফাতাওয়া দিয়ে দেয় যে, সেটি পাপ কাজ নয়। এ হাদীসটি ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যার অন্তর ঈমানের রঙে রঙিত হয়েছে এবং কোনো শর‘ঈ দলীল ছাড়া মুফতি তাকে ধারণাবসতঃ অথবা প্রবৃত্তির অনুসরণ করার জন্য ফাতওয়া দিয়েছে। আর যদি মুফতির কাছে কোনো শর‘ঈ দলীল বিদ্যমান থাকে তাহলে যে ব্যক্তি ফাতওয়া চেয়েছে তার ওপর ওয়াজিব হচ্ছে শর‘ঈ দলীলের দিকে প্রত্যাবর্তন করা যদিও তার অন্তর মুফতির কথায় আশ্বস্ত না হয়।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية