الوكيل
كلمة (الوكيل) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) بمعنى (مفعول) أي:...
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈল সম্প্রদায় থেকে বর্ণনা করো। এতে কোনো দোষ নেই; কিন্তু যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যারোপ করল সে যেনো জাহান্নামে তার ঠিকানা নির্ধারিত করে নিলো।”
হাদীসের অর্থ: আমার থেকে উত্তরাধিকারী সূূত্রে প্রাপ্ত কুরআন ও হাদীসের ইলম মানুষের কাছে পৌঁছে দাও; যদিও পৌঁছে দেওয়া ইলম সামান্য পরিমাণ যেমন কুরআনের একটি আয়াতও হয়। তবে শর্ত হলো যা পৌঁছাবে তা ভালোভাবে জানা ও বুঝা। ব্যক্তির ওপর পৌঁছানোর এ নির্দেশ তখনই ওয়াজিব যখন সেটা তার ওপর একান্তভাবে নির্ধারিত হয়ে যাবে। আর যদি তার ওপর পৌঁছানো ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত না হয়, যেমন দেশে মানুষকে দীন শিক্ষা ও দীনের ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেওয়ার মতো আরও বেশ কিছু দা‘ঈ লোক থাকে তাহলে পৌঁছানো তার ওপর ওয়াজিব নয়; বরং তখন তার জন্যে মুস্তাহাব। বনী ইসরাঈলদের বর্ণিত সত্য ঘটনাবলী তাদের থেকে বর্ণনা করাতে কোনো দোষ নেই। যেমন, আসমান থেকে আগুন নেমে কুরবানীর গোশত পুড়িয়ে দেওয়া, গো বৎস পূজারীদের তাওবা কবুল হতে একে অন্যকে হত্যা করার ঘটনা অথবা কুরআনে বর্ণিত ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা যাতে উপদেশ রয়েছে। যে ব্যক্তি (ইচ্ছাকৃতভাবে) আমার ওপর মিথ্যারোপ করল সে যেনো জাহান্নামে তার নিজের ঠিকানা নির্ধারিত করে নিলো। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর মিথ্যারোপ করা সাধারণ মানুষের ওপর মিথ্যারোপ করার মতো নয়। বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর মিথ্যারোপ মানে আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করা। অতঃপর আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ তার শরী‘আতের ওপর মিথ্যারোপের নামান্তর। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহীর মাধ্যমে যা কিছু আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন তাই আল্লাহর শরী‘আত। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর মিথ্যারোপ করার শাস্তি অধিক কঠিন।