السميع
كلمة السميع في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فعيل) بمعنى (فاعل) أي:...
“আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হল যে, তারা যা বলত, তা করত না এবং তারা তা করত, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হত না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন। আর এর বাইরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই।”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন সে উম্মত থেকে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত যারা তার পর তার প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখতো। আর তার এমন কতক সাথী হতো যারা তাঁর সুন্নতের উপর আমল করত, আর নির্দেশের পাবন্দি করত এবং তাঁর শরী‘আতের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হল যে, তাদের যা দেওয়া হয়নি তার প্রতি তৃপ্ততা প্রকাশ করত। অর্থাৎ তারা প্রকাশ করত যে, তারা প্রশংসনীয় গুণের অধিকারী অথচ তারা তা নয়। তাদের যা করার প্রতি আদেশ দেওয়া হতো তারা তার বিপরীত করত, যার প্রতি শরী‘আতের কোন অনুমোদন নেই। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন, যখন খারাবী দূর করা হাত দ্বারা জিহাদ করার ওপর মওকুফ হয়ে যায় এবং এর কারণে তার তার চেয়ে শক্তিশালী খারাবী না বর্তায়। সে অবশ্যই পরিপূর্ণ ঈমানদার। আর যে ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে যবান দ্বারা জিহাদ করে এবং যে তা প্রতিহত করতে সক্ষম তার সাহায্য গ্রহণ করে সে মুমিন। আর যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে এবং সেটা দূর করতে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে সে মু’মিন। আর কোন অন্যায়কে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করার চেয়ে বিকল্প কোন ঈমান নেই।