البحث

عبارات مقترحة:

الحافظ

الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحافظ) اسمٌ...

المقيت

كلمة (المُقيت) في اللغة اسم فاعل من الفعل (أقاتَ) ومضارعه...

العزيز

كلمة (عزيز) في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فعيل) وهو من العزّة،...

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ সনদে বর্ণিত: “একজন মদ পানকারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নিয়ে আসলে তিনি বললেন, “তোমরা তাকে প্রহার কর”। তারপর আমাদের কেউ হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে, কেউ কাপড় দিয়ে তাকে প্রহার করল। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল তখন উপস্থিত কেউ বলল, আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুন। রাসূল বললেন, “এমন কথা বলো না, তার বিপক্ষে শয়তানকে সাহায্য করো না।”

شرح الحديث :

হাদীসের অর্থ: সাহাবীগণ একজন লোককে রাসূলের কাছে নিয়ে আসেন যে মদ পান করেছে। রাসূল তাকে প্রহার করার নির্দেশ দিলে সাহাবীগণ তাকে মারল। কেউ কেউ মারার কোনো হাতিয়ার না নিয়ে হাত দিয়ে মারল, কেউ কেউ তাকে জুতা দিয়ে মারল। যাতে তার দ্বারা অন্যরা উপদেশ গ্রহণ করে। আবার কেউ কেউ কাপড় দিয়ে প্রহার করল। তবে তারা কেউ লাঠি, যা শাস্তি প্রয়োগ করতে ব্যবহার করা হয় তা, ব্যবহার করেনি। অপর একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বিশ জন লোককে নির্দেশ দিলেন। তাদের প্রত্যেকে খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে তাকে দুটি করে আঘাত করে। এ দ্বারা এ ব্যাখ্যা করা যায় যে, তার শাস্তি চল্লিশ বেত্রাঘাত। খুলাফায়ে রাশেদীন কর্তৃক আরও বেশি শাস্তির যে বর্ণনা এসেছে, তা হলো ইমামের পক্ষ থেকে তার জন্য অনির্ধারিত শাস্তিস্বরূপ। অতঃপর যখন মানুষ তাকে আঘাত করা শেষ করল, তাদের কেউ কেউ তার জন্য বদ-দো‘আ করতে লাগলো এবং অপমান অপদস্থের জন্য দো‘আ করল। অর্থাৎ মানুষের মাঝে বে-ইজ্জত হওয়া, লাঞ্ছিত এবং অপদস্থ হওয়ার দো‘আ করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা এমন কথা বলো না। তার বিরুদ্ধে শয়তানকে সাহায্য করো না। কারণ, যখন তারা তার জন্য অপমানের দো‘আ করবে হতে পারে তা কবুল হবে। তাতে শয়তান তার টার্গেটে পৌঁছে যাবে, তার উদ্দেশ্য সফল হবে। এমনকি অপরাধী শাস্তি পাওয়া সত্বেও তা থেকে দূরে থাকবে না।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية