البحث

عبارات مقترحة:

الحي

كلمة (الحَيِّ) في اللغة صفةٌ مشبَّهة للموصوف بالحياة، وهي ضد...

المؤخر

كلمة (المؤخِّر) في اللغة اسم فاعل من التأخير، وهو نقيض التقديم،...

المحيط

كلمة (المحيط) في اللغة اسم فاعل من الفعل أحاطَ ومضارعه يُحيط،...

আব্দুল্লাহ ইবনে যামআহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুৎবাহ দিতে শুনলেন। তিনি (খুৎবার মাধ্যমে) (সালেহ নবীর) উঁটনী এবং ঐ ব্যক্তির কথা আলোচনা করলেন, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যখন তাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল। (সূরা শাম্স ১২ আয়াত) (অর্থাৎ) উঁটনীটিকে মেরে ফেলার জন্য নিজ বংশের মধ্যে এক দুরন্ত চরিত্রহীন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।” অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের কথা আলোচনা করলেন এবং তাদের ব্যাপারে উপদেশ প্রদান করলেন। তিনি বললেন, “তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে। (এরূপ উচিত নয়।)” পুনরায় তিনি তাদেরকে বাতকর্মের ব্যাপারে হাসতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, “তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?”

شرح الحديث :

আব্দুল্লাহ ইবনে যামআহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন যে, সে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে স্বীয় উষ্টির ওপর খুৎবাহ দিতে শুনলেন। রাসূলের আদর্শ ছিল তিনি অনুপুস্থিতকে তালাশ করতেন না এবং উপস্থিতকে প্রত্যাখ্যান করতেন না যদি তাতে শরী‘আতের দৃষ্টিতে কোন অসুবিধা বা সীমালঙ্গন না হতো। রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন, আর আব্দুল্লাহ ইবন যাম‘আহ তা শুনছিলেন। তিনি খুৎবায় যা আলোচনা করলেন তাতে ছিল সালেহ নবীর উঁটনীর কথা যে উঁটনী তার মু‘জেযা ছিল এবং তার আলোচনায় ঐ ব্যক্তির কথা ছিল, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। তাকে বলা হতো কুযার। যে লোকটি ছিল তাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগা। তার গুণ ছিল তার দৃষ্টান্ত বিরল, কঠিন ফাসাদ সৃষ্টিকারী এবং তার গোত্রের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার খুৎবায় (মহিলাদের প্রসঙ্গে) বললেন, “তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। এতে প্রমাণিত হয় দাসকে প্রহার করে আদব শেখানো বৈধ। আর নারীদের তার চেয়ে কম প্রহার করে শাস্তি দেওয়া বৈধ। হাদীসটিতে উভয় কর্ম একজন জ্ঞানী থেকে পাওয়া যাওয়ার বিষয়টিকে অসংগত বলা হয়েছে। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তার স্ত্রীকে খুব মারবে অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে বা সে রাতে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে। (এরূপ উচিত নয়।)” কারণ, সঙ্গম ও সহবাস সাধারণত আগ্রহ ও আকাঙ্খার পছন্দনীয় হয়। কিন্তু যাকে প্রহার করা হলো সে সাধারণত যে তাকে মারল তার থেকে দূরে থাকতে চায়। এতে এটি যে একটি নিন্দনীয় কর্ম তার প্রতি ইঙ্গিত করা হলো। তবে যদি মারতেই হয় তাহলে তা যেন সীমিত আকারে প্রহার করা দ্বারা হয়। যাতে সে পুরোপুরি বদলে না যায়। সুতরাং প্রহার করা ও শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করবে না। পুনরায় তিনি তাদেরকে বাতকর্ম বিষয়ে নসিহত করলেন। অর্থাৎ, বাতকর্ম বিষয়ে তাদের হাঁসি সম্পর্কে সতর্ক করলেন। কারণ, এটি মানবিকতার পরিপন্থী। এ ছাড়াও এতে রয়েছে সম্মানহানি। এর খারাপ দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন “তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?” কারণ, হাঁসিতো হবে এমন বিষয় নিয়ে যা আশ্চর্য ও অনাকাঙ্খিত যার প্রভাব চেহারায় প্রকাশ পাবে। তখন সে মুচকী হাসবে। আর যদি তা আরও শক্তিশালী হয় তখন হাঁসিতে আওয়াজ হবে। আর যদি আরও শক্তিশালী হয় তখন তা হবে অট্ট হাঁসি। আর যেহেতু এ বিষয়টি এমন বিষয় যার প্রতি সব মানুষই অভ্যস্থ এ ধরনের একটি বিষয় সংঘটিত হওয়াতে হাঁসির কারণ কি হতে পারে?


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية