البحث

عبارات مقترحة:

اللطيف

كلمة (اللطيف) في اللغة صفة مشبهة مشتقة من اللُّطف، وهو الرفق،...

الأعلى

كلمة (الأعلى) اسمُ تفضيل من العُلُوِّ، وهو الارتفاع، وهو اسمٌ من...

المتين

كلمة (المتين) في اللغة صفة مشبهة باسم الفاعل على وزن (فعيل) وهو...

উবাদাহ ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এই মর্মে বাইয়াত করলাম যে, দুঃখে-সুখে, আরামে ও কষ্টে এবং আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার অবস্থায় আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব। রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না; যতক্ষণ না তোমরা (তার মধ্যে) প্রকাশ্য কুফরী দেখ, যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল রয়েছে। আর আমরা সর্বদা সত্য কথা বলব এবং আল্লাহর ব্যাপারে কোন নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করব না।

شرح الحديث :

সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে শ্রবণ এবং আনগত্য করার ওপর বাইয়াত গ্রহণ করেন। আর তিনি হলে রাসূলের যুগে যাকে আল্লাহ কর্তৃত্ব দান করেন। কারণ, আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর আর রাসূল ও ক্ষমতাশীলদের আনুগত্য কর”। [সূরা নিসা, আয়াত: ৫৯] আর রাসূলের পরে কর্তৃত্বকারী দ্বারা দুটি জামাত উদ্দেশ্য। উলামা ও শাসকগণ। তবে আলেমগণ ইলম ও বয়ানের অভিভাবক আর শাসকগণ, বাস্তবায়ন ও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিভাবক। তিনি বলেন, আমরা শ্রবণ ও আনুগত্য করার ওপর বাইয়াত করি। আর তার বাণী: আরামে ও কষ্টে। অর্থাৎ চাই জনগণ মালদার হোক বা অভাবী এবং ফকীর হোক বা ধনী হকো সমস্ত জনগণের ওপর ওয়াজিব হলো তারা তাদের ক্ষমতাশীলদের আনুগত্য করবে এবং তাদের কথা মানবে। অনুরুপভাবে আগ্রহে ও অনাগ্রহে। অর্থাৎ, জনগণ সেটা অপছন্দ করুক যেহেতু তাদেরকে এমন বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা তারা চায় না ও পছন্দ করে না অথবা তারা সেটা সাদরে গ্রহণ করে নিক যেহেতু তাদেরকে তাদের পছন্দ ও ইচ্ছার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। “আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার অবস্থায় আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব”। অর্থাৎ ক্ষমতাশীলগণ যদি প্রজাদের ওপর রাষ্টীয় সম্পদ ইত্যাদিতে নিজেদের প্রাধান্য দেয় এবং তার দ্বারা তারা নিজেরা আনন্দ-ফুর্তি করে আর যাদের ওপর তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাদেরকে বঞ্চিত করে, তবুও তাদের কথা শোনা ও আনুগত্য করা ওয়াজিব। তারপর বলেন, “রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না”।অর্থাৎ, আল্লাহ ক্ষমতাশীলদের আমাদের ওপর যে ক্ষমতা দিয়েছেন তাদের থেকে সে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা জগড়া করবো না। কারণ, এ ধরনের বিবাদ বড় বির্পয়, মহা ফিতনা এবং মুসলিমদের মাঝে বিভক্তি নিয়ে আসবে। উম্মতে মুসলিমাহ উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত ক্ষমতাশীলদের সাথে বিবাদ করার কারণেই ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, যতক্ষণ না তোমরা (তার মধ্যে) প্রকাশ্য কুফরী দেখ, যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল রয়েছে। চারটি শর্ত যখন আমরা দেখতে পাব এবং চারটি শর্ত যখন পূর্ণ হবে তখন আমরা তাদের বিরোধিতা করব এবং তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করব। প্রথম শর্ত হলো তাদের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানা, শুধু ধারণার বসবতী হয়ে তাদের আনুগত্য থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। দুই: তাদের থেকে কুফর সম্পর্কে অবগত হওয়া ফাসেকী নয়। শাসকদের থেকে ফাসেকী পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ নয়। যদিও তারা মদ পান করে, ব্যভিচার করে এবং মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার করে। তবে যদি তাদের থেকে কোন সু স্পষ্ট ও প্রকাশ্য কুফরী পাওয়া যায় তখন বিদ্রোহ করা যাবে। তিন: স্পষ্ট কুফর। তবে যদি কোন ব্যাখ্যা বা বর্ণনার সম্ভাবনা থাকে তখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ হবে না। অর্থাৎ যদি দেখি তারা এমন কোন কর্ম করেছে যাকে আমরা কুফর বিবেচনা করছি, অথচ তাতে কুফর না হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, তখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বা তাদের সাথে বিবাদ করা বৈধ নয়। কিন্তু যদি তা সু স্পষ্ট কুফর হয় যেমন, সে জনগণের জন্য ব্যভিচার করা ও মদ পান করাকে বৈধ করল। চার, তোমাদের নিকট আল্লাহ পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে। আমাদের নিকট অকাট্য প্রমাণ রয়েছে যে, তা কুফর। তবে যদি প্রমান সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্র দুর্বল হয় বা বুঝার ক্ষেত্র দুর্বল হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ নয়। কারণ, শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাতে অনেক খারাবী ও অনিষ্টতা আছে। আর যখন আমরা তাদের থেকে এ সব দেখতে পাবো, তখন যতক্ষণ পর্যন্ত তা দূর করার ক্ষমতা আমাদের না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরোধিতা করা যাবে না। আর যদি আমাদের কোন ক্ষমতা না থাকে তবে তাদের বিরোধিতার করা বৈধ নয়। কারণ, হতে পারে জনগণ যখন তাদের বিরোধিতা করবে অথচ তাদের হাতে কোন ক্ষমতা নেই, তখন সে অবশিষ্ট ভালোর অপর ক্ষমতা চালাবে। তখন তার ক্ষমতা আরও পূর্ণতা লাভ করবে। সক্ষমতা থাকার শর্তে এ শর্তগুলো বৈধ বা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত। যদি সক্ষমতা না থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ নয়। কারণ, এটি হবে আত্মঘাতি—নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। কারণ, তখন বিদ্রোহ করে কোন লাভ নেই।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية