البحث

عبارات مقترحة:

الوكيل

كلمة (الوكيل) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) بمعنى (مفعول) أي:...

الرقيب

كلمة (الرقيب) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) بمعنى (فاعل) أي:...

الولي

كلمة (الولي) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) من الفعل (وَلِيَ)،...

রিফা‘আহ ইবন রাফে‘ আয-যুরাকী থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগনের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আসল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসা ছিল। সে তার কাছাকাছি স্থানে সালাত আদায় করল। তারপর সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তাঁকে সালাম দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার সালাত আবার পড়ো। কেননা তুমি সলাত পড়োনি। তিনি বলেন, তারপর সে ফিরে গেল এবং আগের মতো সালাত আদায় করলো। তারপর আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফিরে এলো। তিনি তাকে বললেন, তুমি তোমার সালাত আবার পড়ো। কেননা তুমি সলাত পড়োনি। সে বললো, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাকে শিখিয়ে দিন কীভাবে সালাত আদায় করবো। তিনি বলেন, “তুমি যখন কিবলামুখী হবে তাকবীর (তাহরীমা) বলো, এরপর তুমি সূরা ফাতিহা পড়ো। তারপর কুরআনের যে অংশ তোমার কাছে সহজ সেখান থেকে পাঠ করো। তারপর যখন তুমি রুকূ করবে তখন তুমি তোমার দুই হাত দুই হাঁটুর উপর রাখবে এবং তোমার পিটকে লম্বা করে বিছিয়ে দেবে। তুমি তোমার রুকূর জন্য ধীরস্থিরতা অবলম্বন করো। অতঃপর যখন তুমি তোমার মাথা উঠাবে তখন তুমি তোমার মেরুদন্ড সোজা কর। যাতে হাঁড়গুলো নিজ নিজ জোড়ার স্থানে ফিরে যায়। তারপর যখন সেজদা করবে তখন তুমি তোমার সেজদার জন্য ধীরস্থিরতা অবলম্বন করো। তারপর যখন তুমি তোমার মাথা উঠাবে তখন তুমি তোমার বাম উরুর ওপর বসো। অতঃপর প্রতি রুকু ও সেজদায় তা করো। মুসনাদে আহমাদ। অপর বর্ণনায় বর্ণিত। তিনি বলেন, “আল্লাহর নির্দেশ মত পূর্ণাঙ্গরূপে উযূ না করলে তোমাদের কারো সালাত পরিপূর্ণ হবে না। সে তার মুখমণ্ডল ও দু’ হাত কনুইসহ ধৌত করবে, তার মাথা মাসহ করবে এবং দু’পা গোছা পর্যন্ত ধৌত করবে। তারপর তাকবীর বলবে এবং আল্লাহর প্রশংসা করবে। তারপর তাকে যতটুকু অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং তার জন্য যা সহজ হয় তা থেকে কুরআন পড়বে। তারপর তাকবীর বলবে এবং সেজদা করবে। তারপর চেহারাকে বা কপালকে যমীনে এমনভাবে রাখবে যাতে তার শরীরের জোড়াগুলো স্থীর হয়ে পড়ে এবং ঝুঁকে পড়ে। তারপর তাকবীর বলবে এবং সোজা হয়ে তার আসনে বসবে এবং মেরুদন্ডকে সোজা করবে। এভাবে চার রাকা‘আত সালাতের পদ্ধতি বর্ণনা করেন। এ সব কর্মসমূহ সম্পাদন করা ছাড়া তোমাদের কারো সালাত পূর্ণ হবে না।” সুনানে আবূ দাউদ। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: “তারপর তুমি আল্লাহ যেভাবে আদেশ করেছেন সেভাবে ওযূ কর। তারপর তাশাহুদ পড়। ইকামত দাও এবং তাকবীর বলো। যদি তোমার কাছে কুরআন জানা থাকে তা থেকে পড়ো। অন্যথায় আল্লাহর প্রশংসা কর, তার তাকবীর বল এবং তাহলীল পড়ো।”

شرح الحديث :

এ হাদীসটি স্বীয় সালাতে ভুলকারীর হাদীস হিসেবে প্রসিদ্ধ। আর এটি সালাতের রুকন, ওয়াজিব ও শর্তসমূহ সহ সালাতের প্রদ্ধতি বর্ণনাকারীদের জন্য উত্তম দলিল। কারণ, এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষাদানের উপযুক্ত স্থান স্পষ্ট করেছেন ও সালাতের আমলসমূহের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যে আমলগুলো সালাতে আদায় করা ওয়াজিব এবং এ হাদীসে যে কর্মগুলো করা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলো করা ওয়াজিব ধরা হবে না। হাদীসটির সার সংক্ষেপ হলো: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন খাল্লাদ ইবন রাফে‘ নামক একজন সাহাবী মসজিদে এসে কথা ও কর্ম অপূর্ণাঙ্গ রেখে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর সে সালাত থেকে ফারেগ হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল ও তাকে সালাম করলো। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, আবার গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমিতো সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল। তিনি বললেন, ফিরে গিয়ে আবার সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সাহাবী কসম খেয়ে বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। যখন সে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করল, তার মনে তার দিকে ঝুকালো, শিক্ষা কবুল করার জন্য প্রস্তুত হলো এবং বারবার ফিরিয়ে দেওয়ার পর ভুলক্রমে কিছু করার সম্ভাবনা দূর হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যার অর্থ, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তুমি তাকবীরে এহরাম বলবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়া শেষ করে কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু‘তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ‘ করবে। তারপর তুমি রুকূ হতে উঠে সোজা হয়ে দাড়াবে এবং দাঁড়ানো অবস্থায় তুমি ধীরস্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর তুমি সেজদা করবে এবং ধীরস্থীরতা অবলম্বন করবে। অতঃপর সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। তাকবীরে এহরাম ছাড়া পুরো সালাতে এ কর্ম ও কথাগুলো আদায় করবে। কারণ, তাকবীরে তাহরীমাতো প্রথম রাকা‘আতে অন্য রাকা‘আতে নয়। অন্যান্য বর্ণনা সালাতের আরো কয়েকটি শর্তের দিকে দৃষ্টিপাত করেছেন, যেমন কিবলামুখী হওয়া ও ওযূর পবিত্রতা।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية