البحث

عبارات مقترحة:

القيوم

كلمةُ (القَيُّوم) في اللغة صيغةُ مبالغة من القِيام، على وزنِ...

الحفيظ

الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحفيظ) اسمٌ...

الرحمن

هذا تعريف باسم الله (الرحمن)، وفيه معناه في اللغة والاصطلاح،...

আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার (দিকের দেওয়ালে) থুথু দেখতে পেলেন এটা তাঁর প্রতি খুব ভারী মনে হল; এমনকি তাঁর চেহারায় সে চিহজ্ঞ দেখা গেল। ফলে দাঁড়ালেন এবং তিনি তা নিজ হাত দ্বারা ঘষে তুলে ফেললেন। তারপর বললেন, “তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে তার রবের সাথে কানে কানে (ফিসফিস ক’রে কথা) বলে। আর তার রব তার ও কেবলার মধ্যস্থলে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যেন কেবলার দিকে থুথু না ফেলে; বরং তার বামে অথবা পদতলে ফেলে। অতঃপর তিনি তাঁর চাদরের এক প্রান্ত ধরে তাতে থুথু নিক্ষেপ করলেন। তারপর তিনি তার এক অংশকে আর এক অংশের সাথে রগড়ে দিয়ে বললেন, কিংবা এইরূপ করে।”

شرح الحديث :

নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকের দেওয়ালে থুথু দেখতে পেলেন। এটা তাঁর প্রতি খুব ভারী মনে হল; এমনকি তাঁর চেহারায় সে চিহজ্ঞ দেখা গেল। ফলে তিনি নিজেই দাঁড়ালেন এবং উম্মাতকে শিক্ষা দেয়া, স্বীয় রবের বিনয়ে এবং আল্লাহর ঘরের তিনি তার মুবারক হাত দ্বারা তা ঘষে তুলে ফেললেন। তারপর বললেন, “যখন কোন বান্দা সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে অবশ্যই যিকির, দো‘আ এবং তার আয়াতসমূহের তিলাওয়াতের মাধ্যমে তার স্বীয় রবের সাথে কানে কানে (ফিসফিস ক’রে কথা) বলে। সুতরাং এ স্থানে উচিত হলো, সে তার সালাতে বিনয়ী হবে, যার সাথে কানে কানে কথা বলছে তার বড়ত্বকে স্মরণ করবে, অন্তর দিয়ে তার প্রতি মনোযোগ দেবে এবং আল্লাহর সাথে কোন প্রকার বে-আদবী করা থেকে দূরে থাকবে। সুতরাং তার কিবালার দিকে থুথু ফেলবে না। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থায় একজন মুসল্লির করনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন। আর তা হলো এ অবস্থায় সে তার বামে অথবা তার বাম পদতলে থুথু ফেলবে। অথবা সে তার রুমালে থুথু ফেলবে। তারপর তার এক অংশকে আর এক অংশের সাথে রগড়ে দিয়ে নিবে। একজন মুসল্লীর জন্য জরুরী হলো, এ অনুভব করা যে সে আল্লাহর সামনে, এবং তার প্রতি মনোযোগ দিয়ে ঝুঁকা। যদিও আল্লাহ আসমানে স্বীয় আরশের উপর। কিন্তু সে ইলম ও কুদরত দ্বারা সে একজন মুসল্লীরই সামনে। কারণ, তার ইলম ও কুদরত প্রতিটি বস্তুকে আয়ত্বকারী। কোন কিছুই তার তুলনা হয় না, তিনি সর্ব শ্রোতা ও সর্ব দ্রষ্টা। [সূরা শোরা, আয়াত: ১১] এর অর্থ এ নয় যে, আল্লাহ মানুষের সাথে মিশে আছে অথবা যে স্থানে একজন মুসল্লী সালাত আদায় করে সেখানে আল্লাহ আছে। এ থেকে আল্লাহ উর্ধ্বে ও মহান। সুতরাং তিনি তার শান অনুযায়ী একজন মুসল্লী এবং একজন দো‘আকারীর নিকটেই রয়েছেন। এক সৃষ্টি অপর সৃষ্টি নিকট হওয়া নয়। বরং তা হলো স্রষ্টা তার সৃষ্টির নিকট হওয়া। এর দৃষ্টান্ত তার সৃষ্টির মধ্যেই রয়েছে। আর আল্লাহর জন্যই হলো উন্নত দৃষ্টান্ত। যেমন, সূর্য্য তোমার অনেক উপরে। তারপরও দেখা যায়, সূর্য ডোবা বা উদয়ের সময় তোমার সামনেই থাকে।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية